নিম পাতার উপকারিতা:-
নিম একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ | প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ নিম গাছের ডাল, পাতা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছে | আজ আমরা জানবো নিম পাতার উপকার সম্পর্কে :-
→ত্বকের দাগ ও ব্রণ দূর করতে:-
১. প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার করে আসছে মানুষ । ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। নিম পাতায় অ্যান্টিসেপটিক ও ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত নিম পাতা বেটে মুখে লাগালে ব্রণ এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে | (ইনশাআল্লাহ)
→চুলের সমস্যা দূর করতে:-
২. অনেকেরই মাথায় চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। নিম পাতার রস নিয়মিত মাথায় লাগালে এই চুলকানির সমস্যা দূর হয় | শুধু চুলকানির সমস্যা নয় নিম পাতার রস নিয়মিত মাথায় লাগলে চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায়, চুলের খুশকির সমস্যা দুর হয় এবং নতুন চুল গজায় | শুধুমাত্র চুলের নয় ত্বকের চুলকানির সমস্যা হলেও নিম পাতা বেটে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
→ওজন কমাতে:-
৩. আপনি ওজন কমাতে চান তাহলে নিমের ফুলের জুস বানিয়ে সেবন করতে পারেন | এতে শরীরের চর্বি কাটবে | নিম ফুল শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি কাটতে সহায়তা করে |
১৫ গ্রাম নিম ফুল চূর্ণ করে তার সাথে আধা চা-চামচ লেবুর রস ও এক চা-চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন | তারপর সপ্তাহে তিনদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি সেবন করুন | কিছু দিন সেবন করার পর দেখবেন আপনার ওজন কমতে শুরু করেছে | (গর্ভবতী অবস্থায় নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন | মেয়েদের নিম না খাওয়া ই ভালো )
→রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:-
৪. সপ্তাহে তিনদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে ১০ গ্রাম নিমের রস মিশিয়ে পান করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় | (গর্ভবতী অবস্থায় নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন | মেয়েদের নিম না খাওয়া ই ভালো)
→ক্ষত সারাতে সাহায্য করে:-
৫. কোনো আঘাতজনিত ক্ষত বা পোকামাকড়ের কামড়ে সৃষ্ট ক্ষত তে, নিম পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে তা প্রতিদিন কয়েকবার ক্ষত স্থানে লাগালে খুব দ্রুত ক্ষত সেরে যায় |
→দাঁতের সমস্যা দূর করতে:-
৬. নিমের ডাল বা নিমের পাতা দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয়, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে সেটা দূর হয়ে যায় |
![]() |
নিম পাতার উপকারিতা |
→ডায়েবেটিস প্রতিরোধ করে:-
৭. নিম ডায়েবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে | নিম ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে | তাই সপ্তাহে তিন দিন সকালে খালি পেটে ১০-১৫ গ্রাম নিমের রস পান করুন এতে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে |
→চোখের সমস্যা দূর করতে:-
৮. একমুঠো নিম পাতা ভালো ভাবে সিদ্ধ করুন, তারপর পানিগুলো ছেকে সেগুলো ভালো ভাবে ঠান্ডা করে নিন | এরপর সে পানি গুলো দিয়ে ভালো করে চোখ ধুয়ে নিন | এটা করলে চোখের যেকোনো ধরনের ব্যথা, ক্লাতি বা লালচে ভাব দূর হয়ে যাবে |
→রক্ত পরিষ্কার করে:-
৯. আপনার রক্ত যদি অপরিষ্কার হয় তাহলে নিম পাতা খেতে পারেন | কিভাবে খাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:-
প্রথমে ১০ গ্রাম নিম পাতা নিন | তারপর ৩ কাপ পানি নিন (চায়ের কাপ) | এরপর নিম পাতা পানির সাথে মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন | ততক্ষণ পর্যন্ত বসিয়ে রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৩ কাপ পানি ১ কাপে পরিণত না হয় | পানি এক কাপে পরিণত হওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তা পান করুন | এভাবে ৪-৫ দিন পান করবেন | এতে আপনার রক্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে | (গর্ভবতী অবস্থায় নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন | মেয়েদের নিম না খাওয়া ই ভালো)
→রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে:-
১০. নিম পাতার রস রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে | যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিম পাতার রস খেতে পারেন | কিভাবে খাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:-
প্রথমে ১০ গ্রাম নিম পাতা নিন | তারপর ৩ কাপ পানি নিন (চায়ের কাপ) | এরপর নিম পাতা পানির সাথে মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন | ততক্ষণ পর্যন্ত বসিয়ে রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ৩ কাপ পানি ১ কাপে পরিণত না হয় | পানি এক কাপে পরিণত হওয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তা পান করুন | এভাবে ৪-৫ দিন পান করবেন | এতে আপনার রক্তের কোলেস্টেরল কমে যাবে | (গর্ভবতী অবস্থায় নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন | মেয়েদের নিম না খাওয়া ই ভালো)
→যারা নিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন :-
• গর্ভবতী অবস্থায় নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন |
• মেয়েদের নিম না খাওয়া ই ভালো |
• ১৬ বছরের কম বয়সিরা নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন |
• যারা লো প্রেসার এর সমস্যায় ভুগছেন তারা নিম সেবন করা থেকে বিরত থাকুন |
• নিমের তেল কখনই সেবন করবেন না | কারণ এর অনেক সাইড ইফেক্ট রয়েছে |
• নিম পাতা খাওয়ার পরে যদি দেখেন বমি, মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া এই ধরেন সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাহলে সাথে সাথে নিম সেবন বন্ধ করে দিন |
নিম পাতার উপকারিতা
Photo Credit - doschooling.com (my own capture)
Post a Comment